Tuesday, December 24, 2024
Homeউত্তরের খবরবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ডিপ ফ্রিজে গৃহবধুর মরদেহ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ডিপ ফ্রিজে গৃহবধুর মরদেহ

দুপচাঁচিয়া প্রতিনিধি: বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় উম্মে সালমা (৫০) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার পর তার মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখেছে দূর্বৃত্তরা। রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ‘আজিজয়া মঞ্জিল’ নামে বাড়িতে নৃশংস ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সাড়ে ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করার জন্য প্রতমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় এবং পরে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত উম্মে সালমা (৫০) দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজার রহমানের স্ত্রী। মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজার রহমান দুপচাঁচিয়া উপজেলা মসজিদের খতিব এবং ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতরে কাপড়-চোপড় এলোমেলো এবং মেঝেতে একটি কুড়াল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলমারি কাটার চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কুড়াল দিয়ে আলমারি কাটার চেষ্টা করা হয়েছে।

দুপচাঁচিয়ার হাটসাজাপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈন খান জানান, মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজার রহমানের ৩ সন্তান। বড় ছেলে এবং মেয়ে ঢাকায় থাকেন। ছোট ছেলে ২৪ বছর বয়সী সাদ বিন আজিজার রহমানই শুধু বাবা-মা’র সঙ্গে দুপচাঁচিয়ায় বসবাস করেন। সাদ ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার কামিল শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। স্কুল শিক্ষক মঈন খান আরও জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড থেকে ১০০ মিটার পশ্চিমে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়ক সংলগ্ন ৪ তলা বাড়ি ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’-এর তৃতীয় তলায় সপরিবারে বসবাস করেন মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজার রহমান।

মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজার রহমান সাংবাদিকদের জানান, মাদ্রাসায় পৌঁছার পর সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজার জানান, তিনি দুপুর ২টার পর বাড়িতে গিয়ে প্রধান ফটক তালাবদ্ধ দেখেন।পরে বিকল্প চাবি দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকার পর ঘরের সবকিছু এলোমেলো দেখতে পান। ডিপ ফ্রিজের দিকে তাকিয়ে সেটিকে ভালোভাবে লাগানো হয়নি বলে মনে হয়। এরপর সেটি খোলার পর তার ভেতরে মায়ের হাত বাঁধা লাশ দেখতে পান।
নিহত উম্মে সালমার ম্বামী আজিজার রহমানের ধারণা সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর ১টার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

পুলিশের দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নাজরান রউফ জানান, ডিপ ফ্রিজের মধ্যে উম্মে সালমার লাশ হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। তবে গলায় কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments