স্টাফ রিপোর্টার: সোমবার বগুড়ায় সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনামূলক যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন বেলা ৩টায় শহরের শহিদ টিটু মিলনায়তনে যৌথ কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের জায়গা বিএনপিতে হবে না। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলেও আসতে পারবে না। ছাত্রদলে যোগ দিতে পারবে আদর্শে বলিয়ান হওয়া শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদল কর্মী তৈরির কারখানা। সেখান থেকে আগামীতে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপিতে এই কর্মীরা নেতৃত্ব দিবে।
গত ১৭ বছর নতুন নেতৃত্বের দরকার হয়নি। তেমনি এই ২৪ এর স্বাধীনতায় নতুন করে কর্মীদের দরকার হবে না। তারেক রহমান বলেছেন ফয়সালা হবে কোনপথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। সেই রাজপথেই ফয়সালা হয়েছে, স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পালিয়ে থেকে লাভ হবে না, দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে। সমাজ এবং দলের জন্য কাম করতে হবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে। তারেক রহমানের ৩১ দফার সাথে আমাদের সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানে নিজেদের সংস্কার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে এই বগুড়ায় ১৯ জন নিহত হয়েছে, এরমধ্যে বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। এভাবে সারাদেশে আমাদের যত নেতাকর্মী নিহত হয়েছে তাদের তালিকা আমরা প্রকাশ করেছি। আর কোন দল প্রকাশ করেনি। এখন অনেকেই নিজেদের প্রকাশ করছে। কৌশলের কথা বলছে। আমরা কোন কৌশলে থাকিনি। আমরা সর্বদা রাজপথে প্রকাশ্যে থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নিজেদের জানান দিয়েছি ১৭ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামে। তারেক রহমান যখন যে নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেই নির্দেশ পালন করে গেছি। এখন আমাদের নিজেদেরকে উপস্থাপন করতে হবে। দেশের মানুষের মাঝে শান্তির বানী ছড়িয়ে দিতে হবে তারেক রহমানের নির্দেশে।
দেশের মানুষ ভোটের অধিকার চেয়েছে, আর সেই লড়াই বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা করে গেছে। আগামীতে আমরা বেগম খালেদা জিয়ার চোখে পানি নয় হাসি দেখতে চাই। জনাব তারেক রহমানের মুখে হাসি দেখতে চাই। এদেশের মাঝে তারেক রহমান ফিরে আসবে, আর দেশের মানুষ তাকে দায়িত্ব দিবে সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার।
বগুড়ায় যৌথ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামলী আকতার,
বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কী, শহর ছাত্রদলের সভাপতি এসএম রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিমন।