স্টাফ রিপোর্টার: দুদকের দায়েরকৃত মামলায় বগুড়ার যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকারকে পৃথক দৃ’টি ধারায় ১৩ বছর কারাদন্ড এবং অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সেই সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ মো: শহীদুল্লাহ মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন। রায়ে জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হলে আব্দুল মতিন সরকারকে আরও ৬ মাস কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় ঘোষনার সময় আসামী উপস্থিত ছিলেন না। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দুদকের বগুড়া কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তুফান সরকার ও আব্দুল মতিন সরকারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।
অনুসন্ধানে দুদক নিশ্চিত হয় যে, আব্দুল মতিন সরকার ১ কোটি ৪২ লাখ ১৯হাজার ৪৯৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছে। আর অবৈধভাবে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে। এরপর দুদক বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আব্দুল মতিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্ব আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। তবে চার্জ গঠনের আগেই আদালত ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মতিন সরকারের অবৈধ সম্পদ ক্রোক এবং তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন।
স্পেশাল আদালতে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনকারী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, আব্দুল মতিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলায় মোট ১৩জন সাক্ষী ছিলেন।
তিনি জানান, সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করায় আদালত দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় আব্দুল মতিন সরকারকে ৩ বছরের কারাদন্ড এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন করায় ২৭(২) ধারায় ১০ বছর কারাদন্ড এবং ২ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ টাকা জরিমানা করেন। রায়ে বলা হয় পৃথক দু’টি ধারায় সাজা পৃথকভাবে চলবে অর্থাৎ আব্দুল মতিন সরকারকে ১৩ বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।