স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রিয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের আন্দোলন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে, যতদিন আমরা বাংলাদেশে দীনের বিজয়ের পতাকা উড়াতে না পারবো ততদিন সংগ্রাম চলতেই থাকবো।
এই জমিনে ইসলাম বিজয়ের পতাকা না উড়ানো পর্যন্ত যে কোন ত্যাগ ও কুরবানী দিতে জামায়াত-শিবিরের প্রতিটি নেতা-কর্মী সবসময় প্রস্তু আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে। গণমানুষের সেই জনআকাঙ্খা পূরনের জন্য জামায়াত-শিবিরকে আবারো ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে। মহান আল্লাহ ও দেশের জনগণ যদি জামায়াতকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তবে আমরা রাজা হবো না, জনগনকে প্রজা বানাবো না, জনগনের সেবক হবো।
শনিবার বগুড়ার টিটু মিলনায়তনে সকাল থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখা আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বগুড়া শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও জামায়াতের বগুড়া অঞ্চল প্রধান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
বগুড়া শহর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক এবং সাবেক ছাত্রনেতা হেদাইতুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আলমগীর হোসাইন, সাবেক শিবির নেতা মিজানুর রহমান, নুরুল আমীন সরকার, আব্দুস সালাম তুহিন, আনিছুর রহমান, অধ্যাপক রফিকুল আলম, মো: সেলিম রেজা, আব্দুল কাদিম, আলাউদ্দীন সোহেল, আল আমিন, আজগর আলী, ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম আকন্দ, মেহেদী হাসান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, যেই ফ্যাসিবাদী শক্তি জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, আজ তারাই জনগনের কাছে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। জামায়াত-শিবির সকল বাধা অতিক্রম করে তার লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাচ্ছে। যতই উঁকিঝুকি মারুক পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদ আর কখনোই দেশে ফিরতে পারবেনা। এমনকি যারা ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা কোনদিনও সফল হতে পারবে না। আগামী দিনে এই জাতিকে সৎ, দক্ষ, চাঁদাবাজমুক্ত নেতৃত্ব উপহার দিতে আপনাদেরকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্যবিদায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির ২৪ এর আন্দোলনে মুল ভুমিকা পালন করেছে, শিবিরকে বাদ দিয়ে জুলাই বিপ্লবের কোন ইতিহাস লেখা হতে পারে না।
শাহাদাতের তামান্না নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার প্রাণের বিনিময়ে যে ফ্যাসিবাদকে তাড়ানো হয়েছে তা আর কোনদিন এই জমীনে ফিরে আসতে পারবে না। ইসলামী ছাত্রশিবির প্রয়োজনে আবারো শাহাদতের শপথ নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে যে কোন ফ্যাসিবাদকে কবর দিবে ইনশাআল্লাহ। হাসিনার চাইতেও কোন শক্তিশালী কোন রিজম আবার জাতির উপর চেয়ে বসে তবে আবার আবু সাইদ হয়ে বিতাড়িত করবে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক আড়াই হাজারের অধিক নেতা-কর্মীর এই মিলনমেলা শেষে বর্নাঢ্য র্যালি বগুড়া শহর প্রদক্ষিন করে। বিকেলে জাতীয় ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।