Sunday, January 12, 2025
Homeজাতীয়জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির জন্য আগামী সপ্তাহে আলোচনা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির জন্য আগামী সপ্তাহে আলোচনা

ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা হবে। আগামী সপ্তাহেই তা শেষ হবে বলে সরকার আশা করছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এ তথ্য জানান।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
শুধু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বাইরেও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে সবার সঙ্গে বসে কথা বলা যাবে না। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলা হবে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, ‘আমরা যেটা বলতে যাচ্ছি, ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে। কেউ বাদ যাবে না। সবার কথাই শোনা হবে। প্রেক্ষাপটে ঐকমত্য আছে। ঐকমত্য আছে বলেই শেখ হাসিনার পতন ঘটেছে। পরবর্তী সময়ে আমরা কী করব- এটা আলোচনায় যাবে। যেমন সংবিধান সংস্কার নাকি বাতিল করার প্রশ্নটি। এটি আমরা আলোচনা করে ঠিক করব। যারা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল, তাদের সঙ্গে তো বসবই, সামাজিক, নারী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠন বা যারা গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, সবার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলব, বসব। আশা করি, এটি আগামী সপ্তাহে শুরু ও শেষ হবে। পরামর্শের জন্য আগামী সপ্তাহটি ধরা হয়েছে।’

ঘোষণাপত্রের প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে ছাত্ররা দিয়েছেন জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ঘোষণাপত্র কিন্তু সরকার দেবে না। সরকার ঘোষণাপত্রের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করছে। ঘোষণাপত্র আসবে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সব রাজনৈতিক পক্ষ, দল, সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১৫ জানুয়ারি এই ঘোষণা প্রকাশের জন্য যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই সময়ে তা ঘোষণা নাও হতে পারে। কয়েক দিন বেশি লাগতে পারে। তবে সেটা খুব বেশি দেরিও হবে না।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, সরকার যে জায়গাটি চাচ্ছে, সবার সঙ্গে যেহেতু কথা বলতে হবে, হয়তো কিছু সময় বৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু এটা দেরি হবে না, খুব বেশি দেরি হবে না। হয়তো তাদের সময়সীমার কয়েক দিনের মধ্যেই এটা হয়ে যাবে। যদি আলোচনার ভিত্তিতে ১৫ জানুয়ারি হয়, ১৫ জানুয়ারি হতে পারে। কিন্তু সরকার চাচ্ছে সব পক্ষের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে করা হোক। তাঁরা (সরকার) মনে করেন, শিক্ষার্থীরা এই ধৈর্য ধারণ করবেন, সংযম দেখাবেন। এটা সবার মাধ্যমে যদি হয়, সর্বসম্মতিক্রমে হয়, তাহলে এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। সবার জন্য ভালো হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments