স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আবদুস সালাম বলেছেন, ভোটের জন্যই তো রক্ত দিয়েছি, ভোট দিলে শেখ হাসিনাকে পালাতে হতো না। যদি ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতো, তাহলে দেশের অবস্থা এমন হতো না। ভোটের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এরপর বাকশালের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এরপর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সেটাতো একটাই মানুষের অধিকার।
এই দেশের মালিক আমরা, শেখ হাসিনা নয় ইন্ডিয়া নয়। যারা রাজনৈতিক বিভক্তি করার চেষ্টা করছেন সবার অতীত জানি। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করি, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেই। গনতন্ত্র ফিরে আনি, এখনো গনতন্ত্র ফিরে আসেনি।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আর ফেলানী হতে চায় না, পরাধীন হতে চায় না, আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করতে চায় না, সেটা শিখিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের রাজনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত একটি আধিপত্যবাদী শক্তি আর অন্যটি জাতীয়তাবাদী শক্তি। এর মাঝামাঝি কিছু নেই। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে বিএনপির বিকল্প নেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ঐক্য বিশ্বাস করেন, তারা সবাইকে নিয়ে চলতে চায়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার ফিরিয়ে দেই।
তিনি সোমবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের টিএমএসএস মহিলা মার্কেটের হলরুমে জেলা বিএনপির কর্মী সভয় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট একেএম মাহবুর রহমান, রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, কাজী রফিকুল ইসলাম, ভিপি সাইফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন-নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শহর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সভায় জেলার ২৪টি ইউনিটের সভাপতি সম্পাদকসহ ৫জন করে এবং জেলা পর্যায়ে অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, ভারতে বসে হুমকি দিচ্ছে, আসতেছি। কাজেই যারা নির্বাচন পেছাতে চান, তারা কি হাসিনার আসার পথ প্রশস্থ্য করতে চান. এর আগেও আলীগ অন্যের কাধে ভর করে ক্ষমতায় এসছিলো। গত ১৫ বছরও জনগনের ভোটে আসেনি, পাশ্ববর্তী দেশের কারনে আসছে।
একারনে বলবো দেশে এখনেও গনতন্ত্র আসেনি, রাষ্ট্রের মালিকানা মানুষ ফিরে পায়নি। সেই কারনে বিএনপি লড়াই করছে, যে পর্যন্ত নির্বাচন না অসবে, সে পর্যন্ত বিএনপি মাঠে আসে মাঠে থাকবে, বিএনপি কখনও আপোষ করেনি অন্যায়ের কাছে। নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনও আপোষ করেনি, আমাদের নেতা তারেক রহমানও আপোষ করা শিখেনি দেশের প্রয়োজনে। নেতা তারেক রহমান বলেছেন আন্দোলন করেছি একসাথে নির্বাচন করবো একসাথে সরকার গঠন একসাথে করতে চায়। কারন আলীগ দেশটাকে শ্মশান করে দিয়েছে, এমন কোন সেক্টর নাই যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। তাই ঐক্য ছাড়া দেশটাকে গড়ে তোলা যাবেনা, তাই মনে করবেন না বিএনপি দূর্বল, বিএনপি সবাইকে নিয়ে চলতে চায়।
ঐক্য ফাটল ধরালে আধিপত্যবাদী শক্তি লাভবান হবে, দেশ লাভবান হবে না। বিএনপিকে খাটো করতে গিয়ে দেশকে খাটো করবেন না। দেশের সাথে স্বাধীনতার সাথে, গনতন্ত্রের সাথে বিএনপির নাম জড়িত।