Monday, December 23, 2024
Homeউত্তরের খবরপরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার উদ্যোগে পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার উদ্যোগে পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

 

স্টাফ রিপোর্টার: পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার উদ্যোগে পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহা আহসান হাবিব।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডাঃ শফিউল আজম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার, জনস্বাস্থ্যে শব্দ দূষণের প্রভাব সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাককানগলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান রতন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহথীর বিন মোহাম্মদ। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা মূলক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন ও ভিডিও প্রদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়ার কেমিস্ট মোঃ ইব্রাহীম হোসেন।

বক্তারা বলেন, শব্দ দূষণ রোধে আইন মেনে চলতে হবে। গাড়ি চালানোর সময় অযথা হর্ণ না বাজানোর আহ্বান জানানো হয়। হাইড্রোলিক হর্ণ আইনের প্রয়োগ সহ সচেতনতা বাড়াতে হবে। শব্দের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকায় শব্দ দূষণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

উপ পরিচালক আহসান হাবিব বলেন, নিয়ম মেনে, সঠিক সময়ে যানবাহন চলাচল করতে হবে, যানজট এতে কিছুটা কম হবে, তখন তাড়াহুড়োর মধ্যে হর্ণ বাজাতে হবে না। শুধু যানবাহন নয়, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স , মাইক বাজানো হয় যা শব্দ দূষণ বাড়িয়ে দেয়।

হাইড্রোলিক হর্ণ এর উৎপাদন ও বাজারজাত করন বন্ধ করতে হবে। শব্দদূষণের কারনে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে এবং মানুষের বধির হওয়াসহ ৩০ টির অধিক রোগে আক্রান্ত হয়, তাই শব্দ দুষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতন তার বিকল্প নেই বলেও মতপ্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ডাঃ হাবিবুর রহমান রতন নাক কানগলা বিশেষজ্ঞ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল বলেন, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডেসি বলের শব্দের কারনে মানুষের কানের হেয়ারসেলগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি হয়, এমনকি মানুষ বধির পর্যন্ত হতে পারে, এমনকি একপর্যায়ে মৃত্যুও হতে পারে, তাই‌ শব্দদূষন কমাতে আমাদের সচেতন হতে হবে।

এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী, সমাজকর্মী, সাংবাদিকসহ শতাধিক গাড়িচালক এইপ্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments