দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করণ সহ সরকারি করণের জন্য গ্রহণকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত রোববার ভুক্তভোগী ১০জন শিক্ষক-কর্মচারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা টেকলিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০১৭ সাল থেকে অদ্যবধি তারা শিক্ষক কর্মচারী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পূর্বে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ও সরকারি করণের কথা বলে তাদের ১০জনের নিকট থেকে ২৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা গ্রহণ করে।
এরপর হতে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিনা বেতনে ও কোন প্রকার সম্মানী ভাতা ছাড়াই বিদ্যালয়টিতে পাঠদান সহ যাবতীয় কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সম্প্রতি সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ভোকেশনাল ও কলেজ শাখা সকল শিক্ষক কর্মচারীরা সম্প্রতি জরুরী সভায় বসে।
সভায় তারা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সকল শিক্ষক কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটিতে চাকুরী থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারা সকল শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে স্বাক্ষাৎ করে চাকুরী না করার বিষয়টি জানান এবং তাদের দেয়া টাকা ফেরত চান। এসময় তাদেরকে সমুদয় টাকা ফেরত প্রদানের আশ্বাস প্রদান করে।
সভাপতি বর্তমানে ওই টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করছেন। বর্তমানে সভাপতি কোনো শিক্ষকেরই মোবাইল ফোন রিসিভ না করে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তারা চরম হতাশায় ভুগছেন। অভিযোগে প্রতারণামুলক ভাবে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ও সরকারিকরণের লক্ষ্যে তাদের প্রদানকৃত টাকা ফেরত প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারর নিকট প্রেরণ করেছেন।