Sunday, December 22, 2024
Homeবিনোদনশহুরে জীবন যাত্রায় পিঠা-পায়েসের তৃপ্তি মেটায় আকবরিয়া

শহুরে জীবন যাত্রায় পিঠা-পায়েসের তৃপ্তি মেটায় আকবরিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলার কৃষকরা ধান চাষ ও ফসল ঘরে তোলার সময় নানা ধরনের আচার-অনুষ্ঠান বা উৎসব করে আসছে। কার্তিক আর অগ্রহায়ণ মাস মিলে হেমন্ত ঋতু। হেমন্তের প্রথম মাস পার হওয়ার পর ধান কাটার সময় কৃষকের ঘরে আনন্দের ঢল নামে। এসময়ে ধান ঘরে তোলা, পিঠা-পায়েস খাওয়া, আর উৎসবের ধুম লেগে যায়। গ্রাম ভরে ওঠে নতুন আনন্দে। আগে এসময়টাতে ঢেঁকিতে ধান ভাঙার শব্দে গ্রাম মুখর থাকত। এখন যান্ত্রিক জীবনের প্রভাবে সেই ঢেঁকির শব্দ আর শোনা যায় না।

তবে নতুন চাল দিয়ে ভাত, পিঠা আর পায়েসের আনন্দ এখনো দেখা যায়। নবান্ন উৎসব বাঙালির হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। এই উৎসবে সবাই ধর্ম-বর্ণ ভুলে একসঙ্গে আনন্দ করে। এর কারণ হতে পারে যান্ত্রিক জীবন, শহরের প্রভাব, আর মানুষের ব্যস্ততা।

কিন্তু নবান্ন ও অন্যান্য গ্রামীণ উৎসব হারিয়ে গেলে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বড় অংশ হারিয়ে যাবে। এগুলো শুধু উৎসব নয়, আমাদের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামের প্রতি ভালোবাসার প্রতীক। এছাড়াও নিজেদের এই উৎসবগুলো আমাদের সামাজিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির এক অন্যতম উপাদান। পিঠার কথা শুনলে কার না জিহব্বায় জল আসে।

শীতকাল মানেই হলো পিঠার সময়কাল। গ্রামীণ সংস্কৃতির এক অনবদ্য অংশ বাড়িতে বাড়িতে পিঠা উৎসব। যদিও এখন শুধু গ্রাম নয় শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে পিঠা উৎসব।
গ্রামের দাদী-নানীদের পিঠা তৈরির স্মৃতি মনে পড়ে, পাশাপাশি মায়েরা তার সন্তানদের জন্য অপেক্ষা করে কখন সন্তানরা ছুটি পাবে, কবে আসবে নানা রকমের পিঠা তৈরি করে খাওয়াবে। সেই ঐতিহ্যের পিঠার আমেজ পূরণে আকবরিয়া বদ্ধপরিকর।

গ্রাম অঞ্চলে শীতের পিঠা তৈরি করতে যে উৎসবের সৃষ্টি হয় সে তুলনায় শহরের খুব কমই চোখে পড়ে পিঠাপুলির বাহার। বর্তমান প্রজন্মরা শহরে বড় হওয়ার কারণে গ্রাম্য কৃষ্টিকালচার হতে তারা অনেক পিছিয়ে। বাঙালির ঐতিহ্যে মিশে থাকা আকবরিয়ার পিঠা আয়োজনে যুক্ত হচ্ছে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা।

পিঠা ক্রেতা রুকুর সাথে আলাপকালে জানান, নিউ মার্কেটে কেনা-কাটা সেরে যখন বাড়ির দিকে ফিরে যেতে ধরি আকবরিয়ার হরেক রকম পিঠার গন্ধে অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে যায়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments