স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধু উম্মে সালমাকে হত্যা করে ডিপফ্রিজে রাখার ঘটনায় মোসলেম এর পর মাবিয়া ও সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে তারা এ জবানবন্দি দেন।
রবিবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ ও ৪ এর বিচারকের কাছ তারা পৃথকভাবে জবানবন্দি প্রদান শেষে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তাদের কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার আটক মোসলিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে আটক তিনজন জবানবন্দি প্রদান করলেন। তবে কি বলেছে তারা সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি পুলিশ।
তাদের জবানবন্দি জানার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এ মামলায় কারাগারে থাকা নিহতের ছেলে সাদ বিন আজিজুর আদৌও জড়িত কি না।
উল্লেখ্য গত ১০ নভেম্বর বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া জয়পুরপাড়া এলাকায় ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’ নামে নিজ বাসার ডিপফ্রিজ থেকে উম্মে সালমা খাতুন (৫০) এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় র্যাব সদস্যরা ১২ নভেম্বর দিবাগত রাতে নিহতের ছোট ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সাদ বিন আজিজুর রহমানকে আটক করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করে র্যাব এ নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন এবং পুলিশ রিমান্ডে নেয়।
এরপর বদলে যায় দৃশ্যপট। পুলিশ তদন্তে
ঐ বাড়ীর ভাড়াটিয়া মাবিয়ানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিকভাবে আটক তিনজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।
এদের মধ্যে শুক্রবার মোসলেম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং অপর দুই জন কে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রিমান্ড শেষে রবিবার মাবিয়া ও সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার তিনজনের একজন শুক্রবার জবানবন্দি দিয়েছেন, বাকি দুজন দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তবে জবানবন্দিতে কি বলেছেন তারা তা এখনও জানা যায়নি। জবানবন্দির কপি পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।