স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা আবার শুরু হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা সংস্কার আনতে যাচ্ছি। সিলেবাস কারিকুলাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছি। যে সিলেবাসে পড়ে ছেলেমেয়েরা চাকুরি খুঁজবে না বরং চাকরি তাদের খুঁজবে। অনার্স মাস্টার্স এর সাথে টেকনিক্যাল কোর্স করতে হবে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ছাত্র শিক্ষক একাডেমীক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিসিকের পরিচালক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মীর শাহে আলমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাসনাত আলী,
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই ছিদ্দিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়ে প্রধান অতিথি আরো বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক যে টিম রয়েছে তাদের সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করার চেষ্টা করছি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে পরীক্ষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। পেছনের যে সমস্ত পরীক্ষা রয়েছে সেগুলো যদি আমরা আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে নিতে পারি, তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ দূর করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা এমন সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম যখন সমস্ত দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো এলোমেলো অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের ভেতরে আনার জন্য আমরা গত দুই মাসে আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সদস্য দিয়েছি।
সারাদেশের কলেজগুলো মোটামুটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। সমাবেশে শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন।
বিসিকের পরিচালক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম বলেন, শিবগঞ্জের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ উন্নয়ন বঞ্চিত, এখানে ভবনসহ শিক্ষার মানসম্মত পরিবেশ নেই। সেই অবস্থার উন্নয়নসহ বগুড়ার শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে এই সমাবেশ।