স্টাফ রিপোর্টার: বুধবার বিকেল ৪টায় বগুড়ায় জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সভা শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।
জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মিটুলের পরিচালনায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. একেএম মাহবুবুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
কর্মী সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন।
সাংগঠনিক কর্মী সভায় বক্তারা বলেন, বীরের বেশে তারেক জিয়া দেশে ফেরার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারেক জিয়াকে ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হবে না।
শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী কায়দায় বিগত তিনটি নির্বাচন করেছে। যেখানে দেশের মানুষকে উন্নয়নের নামে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারেক রহমান বিদেশের মাটিতে অবস্থান করে মানুষকে সাহস যুগিয়ে গেছেন। এই বগুড়ার মাটিতে দুর্বার আন্দোলনে অংশ নিয়েছে জিয়ার সৈনিকেরা। সারাদেশে ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে। দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা। বক্তারা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজয়ে প্রথম পতাকা উড়বে বগুড়া থেকে। ফ্যাসিস্ট ও কুলাঙ্গার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে এনে বিচার করতে হবে।
৫ শে আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে জাতীয়বাদী শ্রমিক দলের সারাদেশে ৭৭ জন শ্রমিক শহিদ হন। দেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে শেখ হাসিনা কিভাবে সে ও তার পরিবারের লোকজন দেশটাকে লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষকে উন্নয়নের নামে লুটপাট ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
দেশের বাজেট ছিল কিন্তু দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন ছিল না। বাজেট করে সেই অর্থ লুটপাট করে গেছে। তাই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অধীনে দেশ সংস্কার করে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই আগস্ট বিপ্লবে যারা বিরোধীতা করেছে তাদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সোরমান আলী, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব কামরুল জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক দলের সদস্য লযন ফরিদ আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আমিরুল ইসলাম কাফু,
রাজশাহী জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রকুনুজ্জামান আলম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুর বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন।