স্টাফ রিপোর্টার: জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বগুড়ায় দেড় লক্ষাধিক কিশোরীকে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে। জেলার ৩২২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কমিউনিটি পর্যায়ে এ টিকা দেয়া হবে। ২৪ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং ৯ নভেম্বর হতে ২৪ নভেম্বর (শুক্রবার ও সরকারী ছুটি ব্যতিত) পর্যন্ত উপজেলা এবং পৌরসভাসমূহে ওয়ার্ড ভিত্তিক টিকাদান কেন্দ্রে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি অবগত করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ শফিউল আজম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা।
এসময় অতি: জেলা প্রশাসক মেজবাউল করিম, বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, রাহাত রিটু, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গনেশ দাস, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ,সহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন জানান, জেলায় মোট ১,৬৩,৪৪৫ জন কিশোরীকে টিকা প্রদান করা হবে। এরমধ্যে ১৫৬১৮০ জনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৭২৬৫ জনকে কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২জন টিকাদান কর্মী এবং ২জন স্বেচ্ছাসেবক এবং কমিউনিটিতে ১জন টিকাদানকর্মী ও ১ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার সারাদেশে ৭টি বিভাগে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিদ্যালয়ে ৫ম-৯ম শ্রেণী এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে একডোজ এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
ব্রিফিং সুত্রে জানাগেছে, এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকা জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। জরায়ু মুখের ক্যান্সার বাংলাদেশে নারীদের ২য় সর্বোচ্চ ক্যান্সার।
জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার ১ টি ডোজ ই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা পরিক্ষীত, নিরাপদ এবং কার্যকর। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যেগে এই টিকা বিনামুল্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম-৯ম শ্রেনী ছাত্রীদের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্হিভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের ১ ডোজ প্রয়োগ হবে।